অনলাইন ডেস্ক
দরজায় কড়া নাড়ছে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ক্রিকেটের এ মহাযজ্ঞ শুরু হবে আগামী মাসে, ভারতে। তার আগে নিজেদের ভালোভাবে প্রস্তুত করে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ দল। দেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে তারা। আজ থেকেই শুরু হচ্ছে ২২ গজের ময়দানি যুদ্ধ। প্রথম ওয়ানডে দিয়ে মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড সিরিজ। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দুপুর ২টায় শুরু হবে ম্যাচটি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এই তিনটি ম্যাচকে বিশ্বকাপের ‘প্রস্তুতি’ ম্যাচ হিসেবে দেখছেন টাইগাররা।
তবে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড ম্যাচে থাকছে বৃষ্টির চোখ রাঙানি। গত দুদিন ধরেই মিরপুরের আকাশে রোদ-মেঘের খেলা; থেমে থেমে হচ্ছে বৃষ্টিও। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, আজ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচেও হানা দিতে পারে বৃষ্টি। আশি^নের বেরসিক এই বৃষ্টির কারণে টাইগাররা ঠিকমতো অনুশীলন সেশন করতে পারেননি। একপ্রকার প্রস্তুতি ছাড়াই নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হচ্ছেন লাল-সবুজরা। তবে জয়কে পাখির চোখ করেই মাঠে নামার কথা জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক লিটন দাস, ‘আমি যখন অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছি, আমার প্রথম কাজ ম্যাচ জেতা। সবার এই লক্ষ্যই থাকে…।’
সম্প্রতি এশিয়া কাপ খেলেছে বাংলাদেশ। ফাইনালে উঠতে না পারলেও সুপার ফোরে নিজেদের শেষ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে জয় পেয়েছে তারা। নিউজিল্যান্ড সিরিজে এই জয়টা লিটনদের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। তারচেয়েও বড় কথাÑ দেশের মাটিতে ব্ল্যাক ক্যাপসদের বিপক্ষে তাদের অতীত সাফল্য আরও বড় অনুপ্রেরণার টনিক। ২০০৮ সালের পর ওয়ানডে সংস্করণে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা ৭ ম্যাচের সবকটিতেই জয়ের স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ। সবশেষ ২০১৩ সালে বাংলাদেশ সফরে আসা নিউজিল্যান্ডকে ‘বাংলাওয়াশ’ করার সুখস্মৃতি তো রয়েছেই। যদিও এবার সাকিব, মুশফিক, মিরাজ, তাসকিনদের মতো বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারকে ছাড়াই প্রথম দুই ওয়ানডে ম্যাচ খেলবেন টাইগাররা। বিশ^কাপের আগে ওয়ার্কলোড ম্যানেজ করতেই তাদের বিশ্রাম দিয়েছেন নির্বাচকরা। তবে নিউজিল্যান্ডও বাংলাদেশ সফরে পূর্ণশক্তির দল নিয়ে আসেনি। দেশটির ক্রিকেট বোর্ড দ্বিতীয় সারির দলকে পাঠিয়েছে। ব্ল্যাক ক্যাপসদের নেতৃত্বে লকি ফার্গুসন। লিটন অবশ্য অতীতের চেয়ে গত কয়েক বছরে নিজেদের পারফরম্যান্সকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘শেষ তিন-চার বছর ধরে আমরা দেশের মাটিতে যে কয়েকটি ম্যাচ খেলেছি, আমাদের রেজাল্ট খুবই ভালো। আমরা বলব না, ২০০৮ সালের পর কী হয়েছে না হয়েছে, তবে আমাদের বিশ^াস আছেÑ আমরা ভালো ক্রিকেট খেললে, আমাদের জেতার সুযোগ আছে।’
নিউজিল্যান্ড সিরিজ দিয়ে দলে ফিরেছেন তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সৌম্য সরকার। বেশ কয়েকজন তরুণ ক্রিকেটারও আছেন দলে। এ সিরিজে পারফরম করলে কিছু খেলোয়াড় বিশ^কাপের দলে ঢুকে পড়তে পারেন! লিটন বলেন, ‘আমরা ম্যাচ জেতার জন্যই মাঠে নামব। এটি একটি বড় অর্জন। আপনি দেশের হয়ে ম্যাচ জিতবেন, এটিই হচ্ছে সবচেয়ে বড় জিনিস। যারা আছে এখানে, বিশ^কাপের জন্যও প্রিপারেশন চলছে। দেখা যাক কী হয় এখান থেকে।’ বাংলাদেশের সামনে থাকছে র্যাংকিংয়ে ছয়ে ওঠার সুযোগও। এ জন্য তিনটি ম্যাচই জিততে হবে। ক্রিকেটপ্রেমীরা অবশ্য আজকের ম্যাচটি নিয়েই ভাবছেন। বৃষ্টিতে যেন ম্যাচটি ভেস্তে না যায়, এমনটাই তাদের চাওয়া।
Leave a Reply